যে কোনো বড় শিল্পীর মতো হোমসও কাজ করতেন আনন্দ নিয়ে। ‘দি রিটার্ন অব শার্লক
হোমস’-এ হোমসকে দেখা গেছে কদাচিত কাজের জন্য কোনো বড়গোছের পুরস্কার দাবি করতে। অথচ উপকার যা করেছেন তা হিসাবের অতীত। পার্থিব ব্যাপারে এতোই নিরাসক্ত, বা এমনই খেয়ালি ছিলেন যে শক্তিশালী ও ধনী ব্যক্তিদের কতবার তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন যখন দেখেছেন মামলাটা তাঁর সহানুভূতি আকর্ষণ করতে পারছে না। অথচ কোনো অতি সাধারণ মক্কেলের কাজে সপ্তাহের পর সপ্তাহ অত্যন্ত একাগ্র হয়ে কাটিয়েছেন—কারণ সেগুলোর মধ্যে হয় এমন খোরাক পেয়েছেন যা তাঁর কল্পনা শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করেছে বা বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করেছে। তার এই নীতিবোধ আজও আমাদের মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করে।
“ ” - Bookworm