চন্দ্রগুপ্তকে যখন আলেকজান্ডার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন
তখন তিনি এক বালকমাত্র। কত বয়স
হবে? বড়জোর ষোল বা
আঠারো বৎসর। কিন্তু কেন এই
প্রাণদণ্ড? চন্দ্রগুপ্ত ঠিক কী
বলেছিলেন যার জন্য আলেকজান্ডার একটি বালককে হত্যা করতে উদ্যত হন? ঐতিহাসিকরা নীরব। শুধু বলেন,
চন্দ্রগুপ্ত যবন শিবির থেকে পলায়ন করতে সক্ষম হন। এ ছাড়া যদি
প্রশ্ন করা হয়, কোথায় চন্দ্রগুপ্তের একমাত্র স্ত্রী দুরধরার জন্মস্থান? কেমন করে বিবাহ? ইতিহাস নীরব।
সেলুকাস কি নিজ কন্যা—নাকি তাঁর বংশজ কোনও কন্যাকে চন্দ্রগুপ্তের
হাতে সমর্পণ করেন—কী
তার নাম? মগধবাসীকে এক
নতুন শাসনতন্ত্র—এক পরিচ্ছন্ন শাসনব্যবস্থা দেবার জন্য চন্দ্রগুপ্ত অঙ্গীকারবদ্ধ। চন্দ্রগুপ্ত এ
বিষয়ে এখনও অপরিণত। বিষ্ণুগুপ্ত
(চন্দ্রগুপ্তের বাবা সর্বার্থসিদ্ধির বন্ধু) তার পাশে দাঁড়ায়। তারা এক নতুন মগধ নির্মাণ করার স্বপ্নে বিভোর।
তাদের অসহনীয় দায়িত্ব কিছুটা সহনীয় হয়ে
ওঠে। এদিকে দুরধরা বাঁধভাঙা ক্রন্দনে ভেঙে পড়ল—কেন! কেন
তুমি এলে! এক শান্ত গ্রামে জীবনের সব
দুর্ভোগ স্বীকার করে
নিয়ে বেঁচে ছিলাম। হয়ত কুমারীই থেকে যেতাম সারাজীবন। নয়ত মায়ের দেখা যে কোনও পাত্রকে বিবাহ করে সুখী হবার চেষ্টা করতাম। কিন্তু এখন...?
অশ্রুর সমুদ্রে ডুবে গেল
দুরধরা।—তুমি যাও
চন্দ্রগুপ্ত, যাও! ব্যক্তির প্রতিদান অস্বীকার করা যায়। কিন্তু রাষ্ট্রের নয়। তাতে রাষ্ট্রের সমস্ত অধিবাসীকে অপমান করা হবে। এভাবেই ‘মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত’ নামে ইতিহাসের পাতায় এক সম্রাটের জীবনী বিধৃত করেছেন লেখক অমরজ্যোতি মুখোপাধ্যায়।
“ ” - Salman Shuvo